দুর্ঘটনা!

কষ্ট (জুন ২০১১)

মোঃ মুস্তাগীর রহমান
  • ২৩
  • 0
  • ৩২
লাল চাঁদ বুকে হাত দিয়ে বসে পড়ল।মুখ হতে কথা বের হল না।বুকের মধ্যে আঘাতটা তাঁর বেশী জোরে লেগেছে।বায়ান্ন বছর বয়সে সে অনেকবার আঘাত পেয়েছে।কিন্তু এই রকম আঘাতের অনুভূতি এই প্রথম।অনেক আত্বীয় তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে ;ভবে কেউ কিছুই বলছে না।লাল চাঁদ এমনিতেই ভলো মানুষ;কিন্তু রেগে গেলে অন্যরকম।লাল চাঁদ এখন রাগে না দুঃখে আছে,এটা কারও বোধ হল না।
আজ লাল চাঁদের ভেতরটা জ্বলছে,দুঃখে-কষ্ঠে!রাগে নয়।নানান রকম প্রশ্ন তাঁর ভেতরটা দগ্ধ করে দিল।সে ঠিক বুঝে উঠতে পারল না,এখন তাঁর কী করা উচিত।তাঁর পাশে তাঁর স্ত্রী সখিনা এসে দাঁড়াল।লাল চাঁদ তাঁর দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে নিল। কোন কথা না বলে,উঠে ঘরে চলে গেল। ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল।
কারও মুখে কোন কথা নেই ; সবাই চুপচাপ।টু শব্দটিও কেউ করছে না।এমন সময় সখিনার বাবা সিকদার আলি বলল, মা,তুমি জামাইয়ের কাছে গিয়ে বস।সখিনা ঘরে গিয়ে তাঁর স্বামির পাশে বসল।অন্য আত্বীয়রাও গিয়ে দরজার পাশে দাঁড়াল।লাল চাঁদ চোখ বন্ধ করে ছিল।চোখ খুলল,দেখল তাঁর পাশে সখিনা।
দরজায় দাঁড়িয়ে আছে তাঁর আত্বীয়রা।লাল চাঁদ আস্তে করে সখিনাকে বলল,ওদের ড্রইং রুমে বসতে বল আর না হয় চলে যেতে বল।
আজকের দিনটা লাল চাঁদের যেমন আনন্দের ছিল আবার কষ্ঠেরও ছিল।ঠিক যেন ঈদুল ভিতরের ন্যায়।চাঁদ দেখার পর রোজা চলে যায়,আসে ঈদ।রোজা যাওয়ার দুঃখ আর ঈদ আসার আনন্দ।এই দুঃখ-আনন্দ নিয়ে যেমন ঈদ;লাল চাঁদের কষ্ঠ-আনন্দের দিন ছিল আজ।অথচ সমস্ত আনন্দ মাটি হয়ে গেল ওয়ার্ড কাউন্সিলর যখন দুঃসংবাদটা দিল তাঁকে। আজ লাল চাঁদের জীবনে ছিল ঈদের পূর্ব রাত্রি।চাঁদ রাত!এই চাঁদ রাতে তাঁকে এমন কষ্ঠ সহ্য করতে হবে,সে কখনই ভাবেনি।
আজ তাঁর সবচেয়ে ভালোবাসার সম্পদ,যাকে তাঁর জীবনের সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছে,যাকেঁ সে কখনও কোন আঘাত দিয়ে কথা বলেনি,সেই আজ....! লাল চাঁদ তাঁর জীবনে এই প্রথম এত বড় কষ্ঠ অনুভব করল।
লাল চাঁদের মস্তিস্কে নানা রকম প্রশ্ন হতে থাকল।সেই ছোট বেলা থেকে এই বায়ান্ন বছর বয়স পর্যন্ত নানান অঘটনের ঘটনা মনে পড়ল;কিন্তু এই রকম কষ্ঠের অঘটন তাঁর মস্তিস্কের ডাইরিতে খোঁজে পেল না সে।তাঁরা দশ ভাই-বোন।লাল চাঁদই একমাত্র ভাই।তাও ছয় নম্বার।বড় দুবোনের বিয়ে দিয়ে বাবা গত হয়েছেন।শেষ সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে মা মারা গেছেন।নানা সংকটের মধ্যে তাঁরা বড় হয়েছে।জীবন যুদ্ধে কখনও ক্লান্ত,কখনও শ্রান্ত;তবুও তাঁরা হার মনেনি।বোনগুলো দর্জির কাজ করত,টিউশন করত।লাল চাঁদ নিজেও বোনদের কাজে সহযোগিতা করত,আবার কখনও টিউশন,কখনও ওয়েলডিং এর কারখানায় শ্রমিকের কাজ।এভাবেই তাদেঁরকে জীবন যুদ্ধে লিপ্ত হতে হয়েছে।তাপরেও তারা লেখা-পড়া ছাড়েনি,লেখা-পড়া করে আজ সকলেই প্রতিষ্ঠত।..................
বড় বোন দুটোর আগেই বিয়ে হয়েছিল.......সব বড় রাহেলা,তাঁর স্বামী প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক।মেঝ বোন জাহেদা,তাঁর স্বামীও স্কুল শিক্ষক।রাহেলার স্বামী রহমত আলিই ঠিক করেছিল জাহেদার বিয়ে।মিজানুর, রহমত আলির বন্ধু।সে তার শশুরকে বলল, বাবা,ভালো একটা পাত্র আছে,আমার বন্ধু;জাহেদার সঙ্গে বিয়ে দিলে ভালো হবে।রাহেলার বাবা শফিক চাঁদ না করেনি;জাহেদার সঙ্গে মিজানের বিয়ে হয়ে গেল।
শফিক চাঁদকে ভাগ্যবান ব্যক্তি বলা যেতে পারে।জীবন যুদ্ধে সে নিজে পরাজিত বটে;কিন্তু ছেলে-মেয়েরা সফল।সকলেই নিজে নিজের মত করে গড়ে তুলেছে।শফিক চাঁদ,দু মেয়ের বিয়ে দিয়ে গত হয়েছেন বটে; কিনতু তাঁর ছেলে-মেয়েরা জীবন যুদ্ধে কষ্ঠকে পরাজিত করে নিজেদের ঘরে সুখ তুলে এনেছে।
পরের মেয়ে দুটি একজন সালমা, অপরজন রহিনা।দুজনেই ডাক্তার।তাদেঁর স্বামীও ডাক্তার।সালমার স্বামীর নাম রহিম বক্স,রহিনার স্বামীর নাম তরফদার আলি।পঞ্চম ও ষষ্ঠ মেয়ে দুটির মধ্যে,একজনের নাম আকতার বানু,আর একজনের নাম বিলকিস বানু।আকতার বানু উকিল,তার স্বামী পুলিশের এস আই।বিলকিস বানু হোমিও ডাক্তার, তাঁর স্বামী ব্যবসা করে।সব শেষের দুটি তর্জণা আর অর্পিতা। তাঁরা এখনও দর্জির কাজ করে।নিজেরাই বেছে নিয়েছে এই কাজ।নিউমার্কেটে বড় দোকান নিয়ে গড়ে তুলেছে তর্জণা অর্পিতা লেডিজ টেইলার।সঙ্গে মেয়েদের কপড়।তাদেঁর দুজনের স্বামীই কাপড়ের ব্যবসা করে।তাঁরা সকলেই সুখে-শান্তিতে বাস করে।
লাল চাঁদ বেসরকারী কলেজের সমাজ বিঞ্জানের শিক্ষক।বেসরকারী কলেজে শিক্ষক হতে গেলে ডোনেশন লাগে,লাল চাদেঁর বেলাই তা ঘটেনি।লাল চাঁদ এলাকায় সর্বজন স্বীকৃত একজন সৎ এবং প্রিয় ব্যাক্তি নামে ক্ষ্যাত।সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধা করে এবং ভালোবাসে।লাল চাঁদকে ভালোবাসার অনেকগুলো কারণ আছে।তার মধ্যে সব চাইতে বড় কারণ,সে তাঁর সব বোনের বিয়ে দিয়ে সে নিজে বিয়ে করেছে।
কাল!বৃহস্পতিবার!লাল চাঁদের একমাত্র মেয়ে রীনির বিয়ে।সব বোন আস্তে আস্তে লাল চাদেঁর বাড়ি এল। কেউ এখনও জানে না লাল চাদেঁর এই দুর্বিষহ সয়টার কথা।কিনতু অনুভব করল,কোন এক অশনি সংকেতের!বড় বোন রাহেলা লাল চাদেঁর পাশে বসল।সখিনা রাহেলাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল।লাল চাঁদ চোখ খুলে দেখল তার সব বোন তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।লাল চাঁদ অশ্রু ভেজা চোখে তাঁর বোনদের দিকে তাকাল।রাহেলা বলল,ভাই,আমার ভাই, কী হয়েছে?লাল চাঁদের মুখ থেকে কোন কথা বের হল না।শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে বোনদের দিকে তাকিয়ে রইল।রাহেলা আবার প্রশ্ন করল।সখিনা চিৎকার করে বলে উঠল,আপা,আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে,সব শেষ হয়ে গেছে!
লাল চাঁদকে তাঁর বোনেরা তাঁকে কী পরিমান ভালোবাসে সে এক আল্লা আর তারাই জানে।লাল চাঁদের এ অবস্থা দেখে তাঁরা বুঝে উঠতে পারল না,আসলে কী হয়েছে!রাহেলা সখিনাকে বলল,
কী হয়েছে সেটা বুঝিয়ে বল?এমন সময় সখিনার বাবা এসে পাশে দাঁড়াল।বলল,মা রাহেলা,ও বোঝাতে পারবে না,আমি বলি।তারপর সিকদার আলি যা শোনাল তা এ রকম-
ওয়ার্ড কাউন্সিলর রওশন বাড়িতে এল।তাঁকে আমরা বসতে বললাম। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোন রকম ভনিতা না করে বলল,সবাই যখন আছেন তখন ভালই হল,কথাটা সবার সামনে বলাই ভালো,লাল চাঁদ ভাই,আপনার মেয়ে রিনির কাল বিয়ে,আমরা সবাই জানি;কিন্তু একটা সমস্যা আছে যে।
লাল চাঁদ- হঠাৎ করে এর মধ্যে.....কী সমস্যা ভাই?
-বড় ভাই,আমি যেমন জানি,আমার মনে হয় আপনিও জানেন যে, আমার ভেতরের সব
শ্রদ্ধা আপনাকে দিয়েছি?আমার কোন ভাই নেই;তাই আপনাকেই আমি ভাই ভেবেছি।আপনার
জীবনে কোন আঘাত আসলে,সেটা আমার মনে করি।অন্য কেউ হলে,আমি মাথা ঘামাতাম না,রীনি
যে আমারও মেয়ে! ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলল।
-আমি ত তোমার কথা কিছুই বোঝতে পারছি না ভাই,একটু ভেঙ্গে বললে ভালো হত না?
ওয়ার্ড কাউন্সিলর কোন কথা বলল না।কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে রইল।এ রকম আনন্দের মাঝে,মড়ার বাড়ির মত অবস্থা বোধ বাড়তে থাকল সবার।না জানি কী হয়েছে,কী এমন হয়েছে? ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুখ খুলল-ভাইজান,আবার থেমে গেল।লাল চাঁদ বলল,রওশন,তুমি এ রকম করছ কেন?এবার ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলেই ফেলল-ভাইজান,ছয় মাস আগেই রীনি বিয়ে করেছে,মোজাফ্ফরে ছেলে সোহেলকে।কেউ এখনও জানে না,শুধু রীনি আর সোহেলের কিছু বন্ধু জানে।সোহেলের এক বন্ধু এসে তাদের বিয়ের কাগজগুলো দিয়ে গেছে।
এ সব শুনে রাহেলার বাকশক্তি হারিয়ে গেল।সে তাঁর অন্য বোনদের দিকে উঠে গেল।সবার চেহারা কেমন মলিন হয়ে গেল।সিকদার আলি বলে উঠল,তবে,ওয়ার্ড কাউন্সিলর বলে গেছে,রীনির আগামীকাল বিয়ে হবে।কার সঙ্গে হবে,তা বলে যায়নি।রাহেলা সিকদার আলির দিকে তাকাল,কিন্তু কোন কথা বলল না।শুধু বলল,রীনি কোথায়?সখিনা হাতের ঈশারাই দেখিয়ে দিল।রাহেলা রীনির ঘরের দিকে এগিয়ে গেল।
রাত এক টা দশ মিনিট। ওয়ার্ড কাউন্সিলর রওশন এল।তাঁরা সবাই তার ভেতর হাসি-ভয়,এ দুই রুপ দেখতে পেল।কেউ বুঝতে পারল না,তাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?তারপরেও সবাই আগ্রহে,কাউন্সিলর সাহেব কী খবর শোনাচ্ছে! কাউন্সিলর বলল,পানি খাব,এক গ্লাস পানি দেন।কে যেন কাউন্সিলরকে পানি এন দিল।সে পানি খেল।তারপর বলল,ভাইজান, রীনির সাথে যার বিয়ে ঠিক করেছেন,তার সঙ্গেই রীনির বিয়ে হবে।কেউ কিছু জানেন না,আগে যেমন ছিল,তেমনই রয়েছে।সবাই আনন্দ করুন। কাউন্সিলর আর কোন কথা না বলে বেরিয়ে পড়ল।
আতঙ্কে থাকলেও কাউন্সিলর এর উপর আস্থা থাকার কারণে,সবাই সেটাই বিশ্বাস করল।সবার ভেতর আবার প্রাণ ফিরে এল।সবাই আনন্দে মেতে উঠল।কিন্তু তাঁরা কেউ জানল না,এই পরিবারের মাঝে হাসি ফোটাতে,কাউন্সিলর মোজাফ্ফর পরিবারের মাঝে কষ্ঠ ঢেলে দিল।......
পরের দিন সকালে সবাই দেখল,সোহেল বড় রাস্তার মাঝখানে পড়ে আছে।তাঁর বুকের উপর দিয়ে কোন ট্রাক বা বড় কোন গাড়ি চলে গেছে;সবাই জানল দুর্ঘটনা...................!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Rajib Ferdous বনফুলের গল্প সমগ্র পড়ে আমার অভ্যাসটাই এমন হয়েছে যে, কত অল্পকথায় কত নাটকীয়ভাবে ছোট গল্প উপস্থাপন করা যায় আমি সবসময় এই বিষয়ে সজাগ থাকি। আমার নিজের গল্পেও তা এপ্লাই করতে চেষ্টা করি। হয়তো পারি হয়তো কোন কোনটাতে পারিনা। তবে আমার কাছে তা ছোট গল্পের একটি আর্ট বলে মনে হয়। এর জন্য অবশ্যই মাথা খাটাতে হয়। আপনার গল্পে আমি অনেকবার খেই হারিয়ে ফেলেছি শুধুমাত্র চরিত্রের আধিক্যের কারনে। যা বলতে চেয়েছেন বা যে নাটকের অবতারনা করতে চেয়েছেন তার জন্য লেখনির এই পন্থাটা আমার কাছে যুতসই মনে হয়নি। আরো ভাল হতে পারতো।
রওশন জাহান কাউন্সিলর মোজাফ্ফর পরিবারের মাঝে কষ্ঠ ঢেলে দিল। কিন্তু কাউন্সিলর কেন নিজে থেকে এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে গেল ? সমাধানটা বাস্তবসম্মত ছিলনা !!
আশা গল্পের থিমটা ভালো লাগল। যেটা অনেক ভালোবাসার ক্ষেত্রেই অগোচরে ঘটে থাকে। গল্পের প্রকাশ ভঙ্গিটাই গল্পটাকে দুর্বল করে ফেলেছে। অনেকগুলো চরিত্র আনা হয়েছে এতে দোষের কিছু নেই- যেহেতু বিয়েবাড়ি। তাই প্রজ্ঞা মৌসুমী আপুর কথা ঠিক। কিন্তু রণীল ভাইয়ার যুক্তিটাও সঠিক মনে হচ্ছে। লেখক যদি বর্ণনার মধ্যে চরিত্রগুলোকে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে পারতো তাহলে মতভেদ হয়তোবা এতটা তফাতে যেত না। সে হিসেবে লেখক ভাইয়ার আরো সতর্কতা হওয়া দরকার ছিল। সবশেষে ম. রহমান ভাইয়াকে ধন্যবাদ- এমন ঘটনাকে বেছে নেয়ার জন্যে। কারণ; আমার খুব কাছে এরকম একটা ঘটনা ঘটেছিল- যা নিয়ে এখনো মনের ঘরে হাজার ভাবনা ঘুরপাক খায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
AMINA রণীল! আপনি ঠিক বলেছেন।
রনীল প্রজ্ঞা... নাটক এবং গল্প – দুটোতেই ভিসুয়াল কমুনিকেশন হয়... তবে নাটকের কমুনিকশন টা একটু বেশি জোরাল... নাটকের চরিত্ররা কথা বলে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়... দর্শক সেটা দেখে এবং শোনে... গল্পের যোগাযোগ আবার উল্টো... কিছুটা প্যাসিভ ধরনের... বিয়ে বাড়ির একটি দৃশ্যে পাঠক কল্পনা করে নেয়, এই দৃশ্যে বড় কনের আত্মীয় স্বজন থাকবে... এখন মুল গল্প ছেড়ে গল্পের চরিত্ররা যদি নিজেদের পরিচয় দেয়া শুরু করে, তবে পাঠকের কল্পনা করার সুযোগ আর থাকলোনা... সুযোগ যখন আছে, আমরা গল্পের পাঠকদের একটু খাটিয়ে নিইনা কেন!
AMINA শুরু থেকে শেষ অবধি চমৎকার--কেবল ভাইবোনদের বিবরনের দবর্লতা ছাড়া।প্রাসঙ্গিকতার চাতুর্যতায় ওটার সন্নিবেশ করলে ভাল হতো।ওটাকে একেবারে বাদ দিলেও ভাল হতোনা;কেননা ওটার মাধ্যমে ঐ পরিবারের বহমান সুখের বিষয়টি বোঝানো হচ্ছিল।
প্রজ্ঞা মৌসুমী রনীল, আমার কাছে অবশ্য চরিত্র অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়নি। এই গল্পের ব্যাপারটা হচ্ছে খানিকটা স্ক্রিপ্টের মত। আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। যেরকম নাটকে উপস্থিত চরিত্রগুলা দেখানো হয় সেরকম। একটা বিয়েবাড়ি + প্রধান চরিত্রের অসুস্থতা সব মেয়ে-জামাই/ অনেক আত্নীয় উপস্থিতি প্রাসঙ্গিক বলেই মনে হচ্ছে। বিয়েবাড়িতে ভীড় থাকবে না, এমনতো নয়। অপ্রাসঙিক যেটা মনে হইছে একে একে চরিত্রের পেশা বর্ণনা। কারন সেটা বর্তমান ঘটনা থেকে আমাকে কিছুটা হলেও সরিয়ে নিয়েছে। গল্পটা পড়ার সময় তাই মনে হচ্ছিল তখন
রনীল বর্তমান সমাজে মানুষের জীবনের মুল্য এতটাই মূল্যহীন হয়ে গেছে... লেখককে ধন্যবাদ জানাতে হয় সমাজের একটা বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য... প্রজ্ঞা মৌসুমি- ছোট গল্পে একাধিক চরিত্র আসতে পারেই... তবে সেটা প্রাসঙ্গিক হতে হবে... যেটা এ গল্পে মনে হয়নি।
শাহ্‌নাজ আক্তার ভয়ংকর গল্প , একজন মানুষের মৃত্যু দিয়ে সমসার সমাধান করা হলো ? এছাড়া কি আর কোনো উপায় ছিলনা ? আমাদের সমাজে এত অনাচার দেখতে দেখতে এখন আরে কোনো অনাচার সইতে পারিনা , খুব কষ্ট হয় I সব কিছু মিলিয়ে ভালো লিখেছেন , শুধু সমাধান টুকু ছাড়া

২৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪